আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম এবং আপেল সিডার ভিনেগার তৈরির নিয়ম আমরা অনেকে জানতে চাই।
আপনি বিশ্বাস করবেন না যে আপেল থেকে আপেল সিডার ভিনেগার মাদার সহ বাড়িতে বানানো কত সহজ। এটা খুব ভাল আপনার জন্য এবং খরচ খুবই কম বাজার থেকে কেনার থেকে।
বাড়িতে তৈরী করা আপেল সিডার ভিনেগার আমার বাড়িতে সব সময় থাকে। এই ভিনেগার প্রতিদিন কোন না কোন কাজে আমাদের বাড়িতে ব্যবহার করা হয়। যেমন সালাদে, রান্নাঘরে পরিষ্কারের কাজে, মাথায় খুশকি দূর করতে।
আর তাছাড়া প্রতিদিন খাওয়ার আগে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল চামচ ভিনেগার সাথে লেবুর রস ও হিমালিয়ান পিংক সল্ট মিশিয়ে খাই। আপনি বাজার থেকে এই ভিনেগার কিনতে পারেন তবে খুব সহজে এবং কম খরচে বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন কিছু আপেল দিয়।
বাজার থেকে আপনি যদি ভাল মানের Apple Cider Vinegar কিনতে চান BRAGG এর ভিনেগার পাবেন ৪৫০ থেকে ৬০০ বা এর বেশি টাকায় এলাকা ভিত্তিতে। আর আমার আপেল থেকে তৈরী ভিনেগার তৈরীতে খরচ হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকা মাত্র।
তবে আপেল সিডার ভিনেগার তৈরীর জন্য বাংলায় সঠিক তথ্যপুর্ন কোন ভিডিও বা আর্টিকেল পাওয়া যায়না। আমাদের এই ভিনেগার তৈরী পদ্ধতি অনুযায়ী আপনি বানালে ১০০% খাটি মাদার সহ ভিনেগার বানাতে পারবেন।
মাদার কখনো নিচে জমে না। কিন্তু বাংলাদেশের সকল ভিডিও এবং আর্টিকেলে বলা হয়েছে মাদার নিচে জমে। নিচে যা জমে তা হল আপেলের গলিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানা যা তলানী। আবার অনেক ভিডিও এবং আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে আপেল ফার্মেন্টেশন করার পরে যে পানি পাওয়া যায় তাই ভিনেগার।
এই তথ্য গুলো ভুল। আমি নিজে প্রায় ৩ বছর ধরে বাড়িতে আপেল সিডার ভিনেগার বানাচ্ছি। আমি যেভাবে বানায় অর্থাৎ সঠিক নিয়ম নিচে তুলে ধরা হয়েছে।
আপেল সিডার ভিনেগার তৈরীর জন্য উপকরণ সমূহঃ
এখানে ১ লিটার পানিতে ভিনেগার তৈরীর জন্য যত টুকু যা দরকার সেই পরিমান অনুযায়ী এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
- ১ লিটার ফুটানো পানি (ঠান্ডা করে নিতে হবে)
- আপেল ৬০০ গ্রাম
- লাল বা বাদামী চিনি
- আপেল সিডার ভিনেগার তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস পাত্রঃ
- ১ টি বড় কাচের পাত্র (গরম পানিতে পারিষ্কার করা)
- সুতি কাপড় বা কিচেন টাওয়েল
- ১ টি কাঠের চামচ বা কাঠের কোন বস্তু
আপেল সিডার ভিনেগার তৈরির নিয়ম
বাজার থেকে ভাল মানের আপেল ক্রয় করতে হবে। এরপর বাড়িতে একটি পাত্রে পানিতে কিছু সময় ভিজিয়ে রাখতে হবে সাথে সামান্য লবণ দিতে পারেন। এতে যদি ফরমালিন দেয়া থাকলে ফরমালিন মুক্ত হয়ে যাবে।
- ২০-৩০ মিনিট পরে আপেল গুলো ছোট করে কাটতে হবে। অবশ্যই কোন ভাবে খোসা ছাড়ানো যাবে না। এই সময় আপনি এক টুকরা আপেল খেয়ে দেখতে পারেন স্বাদে আপেল মিষ্টির পরিমান কেমন
- এবার বড় কাচের পাত্রে (দুই লিটার পরিমান পানি রাখা যায় এমন) ফুটিয়ে নেয়া ঠাণ্ডা পানি কাচের পাত্রে ঢেলে দিবেন। এরপর লাল অর্থৎ বাদামী চিনি ৭০ গ্রাম পরিমান পানিতে দিতে হবে। এখন একটি কাঠের চামচ বা কাঠের কিছু দিয়ে (কোন অবস্থাতে কাঠ ব্যাতীত অন্য কিছু ব্যবহার করা যাবে না) ভাল করে নেড়ে দিতে হবে যেন চিনি পানিতে ভাল ভাবে মিশে যায়।
- এখন ১ টি সুতি কাপড় অথবা কিচেন টাওয়েল দিয়ে কাচের বৈয়ামের মুখ ঢেকে ১ টি বাবার দিয়ে আটকে দিতে হবে। এবং এই পাত্রটি এমন স্থানে রাখতে হবে যেখানে বাতাস অর্থাৎ অক্সিজেন পায়।
- ২য় দিন কাচের বৈয়ামের মুখ খুলে ১ টেবিল চামচ পরিমান লাল চিনি দিয়ে আবার কাঠের চামচ দিয়ে নেড়ে দিতে হবে। এভাবে ১৪ দিন অর্থাৎ ২ সপ্তাহ পর্যন্ত চিনি দিয়ে হবে ১ চামচ করে এবং কাঠের চামচ দিয়ে নেড়ে দিতে হবে।
- ২ -৩ দিন পরে থেকে দেখতে পাবেন বুদ বুদ হচ্ছে প্রচুর অর্থাৎ গ্যাজা তৈরী হচ্ছে। অনেকে এটা দেখে ভয় পায় যে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এটা হওয়া স্বাভাবিক। এটাকে বলে ফার্মেন্টেশন। এই ফার্মেন্টশন না হলে আপেল সিডার ভিনেগার তৈরী হবে না। এই সময় ধীরে ধীরে আপেলের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যাবে।
- আপনি যদি গরমের সময় আপেল সিডার ভিনেরগার বানাতে চান তাহলে পানির উপরে সাদা ফাঙ্গাস হতে পারে। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। উপর থেকে কাঠের চামচ দিয়ে সাদা ফাঙ্গাস গুলো তুলে ফেলে দিতে হবে।
- ১৪ দিন বা ২ সপ্তাহ পর্যন্ত ১ চামচ করে চিনি দেয়া এবং নেড়ে দেয়া হলে এর পরদিন থেকে শুধু কাঠের চামচ দিয়ে নেড়ে দিতে হবে প্রতিদিন। ১৪ দিন পরে এই সময়ে দেখা যাবে আপেলের টুকরা গুলো আগের মত পানির উপরে ভেসে নেই। দিনে দিনে যত ফার্মেন্টশন হবে ধীরে ধীরে তত আপেলের টুকরা গুলো পানির নিচে দিকে যেতে থাকবে।
- অনেকের প্রশ্ন কতদিন এভাবে রেখে নেড়ে দিতে হবে। এটা নির্ভর করবে আপনি কখন আপেল সিডার ভিনেগার তৈরী করবেন এই আবহাওয়ার উপর। আপেল সিডার ভিনেগার তৈরী উপযুক্ত তাপমাত্রা ২৩ – ২৭ ডিগ্রী তাপমাত্রায়। তবে আপনি ঘরে ঠান্ডা স্থানে রাখতে পারলে অবশ্যই ভিনেগার বানাতে পারবেন। কোন ভাবেই এই ফার্মেন্টশন চলাকালীন সময় ফ্রীজে রাখা যাবে না।
- আমরা যখন চিনি ছাড়া শুধু প্রতিদিন নেড়ে দিচ্ছি এর বেশকিছু দিন পরে দেখা যাবে বুদ বুদ বা গ্যাজা তৈরী হচ্ছে না। এই সময় একটা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে আলাদা কাচের পাত্রে ছেকে নিতে হবে। এবং আপেলের টুকরা গুলো ফেলে দিতে পারেন।
- এখন যে পানি পেলাম এটাকে সিডার বলা হয়। এখন ছেকে নেয়ার পরে যে ঘোলাটে পানি পেলাম তা একটি কাচের পাত্রে রাখতে হবে বা বাড়িতে কাচের জগ থাকলে ব্যবহার করতে পারেন।
- এবার সিডার ভর্তি কাচের পাত্র বা জগটি আবার একটি পরিষ্কার সুতি কাপড় বা কিচেন টাওয়েল দিয়ে রাবার দিয়ে বেধে রাখতে হবে। যে স্থানে আলো পৌছাতে না পারে তবে বাতাস বা অক্সিজেন যেন অবশ্যই পায় খেয়াল রাখতে হবে।
- এক নাগাড়ে ৬০ – ৮০ দিন পর্যন্ত রাখতে হবে। তবে কোন ভাবেই আগের মত নাড়া যাবে না, মুখ খোলা যাবে না। ২০-৩০ দিন পরে আপনি বাহির থেকে যদি খেয়াল করেন দেখতে পাবেন উপরে সাদা মাদার জমতে শুরু করেছে। এই মাদার পরিপূর্ণ ভাবে আসতে বা জমতে ৬০ – ৮০ দিন মত সময় লাগে।
- এই দীর্ঘ সময় পরে উপরে জমে থাকা মাদার পুরু ও ভারী হওয়াতে আবার নিচে দিকে যেতে শুরু করে। তখন বুঝতে হবে আমাদের আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার তৈরী হয়ে গেছে।
- মাদার যেহেতু খাওয়া যায় না সেহেতু ফেলে দিতে পারেন অথবা আবার যখন ভিনেগার বানাতে চাইবেন তখন ২য় দিনে আপেলের সাথে দিলে দ্রুত ফার্মেন্টশন শুরু হয়।
- এখন এই আপেল সিডার ভিনেগার কাচের বোতলে ভরে ফ্রীজে রেখে আপনি খাওয়া সহ আপনার অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয়? | এ থেকে মুক্তির উপায়
আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা
মাদার সহ আপেল সিডার ভিনেগার নিয়মিত খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
- গাটের (অন্ত্র)সুস্থ্যতায় আপেল সিডার ভিনেগারঃ আপেল সিডার ভিনেগারে প্রচুর পরিমানে প্রোবায়োটিক থাকে যা আমাদের গাট বা অন্ত্রকে সুস্থ্য রাখে। ডাক্তারগণরা বলেন আমাদের গাট (অন্ত্র) সুস্থ্য থাকলে আমরা ৮০% সুস্থ্য থাকি।
- হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ভিনেগারঃ প্রতিদিন সকাল, দুপুর, রাতে খাওয়ার ৫ মিনিট আগে আপেল সিডার ভিনেগার ও লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে খেলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ নিয়মিত আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার খেলে ওজন কমে। অর্থাৎ নিয়মিত ভিনেগার খেলে ক্ষুদা কমতে থাকে। তাই শরীরের ওজন কমতে থাকে।
- রক্তচাপ নিয়ত্রণ করতে সহায়কঃ নিয়মিত ভিনেগার পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে।
- রান্নার কাজে ব্যবহারঃ আপেল সিডার ভিনেগার রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন বিভিন্ন সালাদ, চিকেন বারবিকিউ তৈরীতে। আচার তৈরীতে ব্যবহার করা যায়।
- গৃহস্থলীর জিনিস পত্র পরিষ্কার করতেঃ আমাদের বাড়িতে অনেক প্রয়োজনীয় কাচের বা প্লাস্টিকের জিনিস বা খেলনা গ্যাসের চুলা, কাচের টেবিল ইত্যাদি জিনিস খুব সহজেই পরিষ্কার করা যায় খুব সহজেই।
- মাথায় আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহারঃ যাদের মাথায় খুশকি হয় তারা এই ভিনেগার মাথায় ব্যবহার করলে খুশকি দূর হয়।
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম
বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষরা আপেল সিডার ভিনেগার খায়। তবে অধিকাংশ মানুষেরই আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম অজানা। সঠিক নিয়ম না জানলে আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা পাওয়া যাবে না।
- আপেল সিডার ভিনেগার সাধারণত সকালে খেলে ভালো হয়। তবে সকালে নাস্তার ৫ থেকে ১০ মিনিট আগে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া ভালো।
- অনেকে আপেল সিডার ভিনেগার সাদা পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন না। তারা ভিনেগারের স্বাদ বাড়াতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।
- আপেল সিডার ভিনেগারের সাথে হিমালয় পিকিং সল্ট মিশিয়ে খেলে আরও বেশি উপকারে আসে।
- যাদের গ্যাস্ট্রিক কিংবা হজমের সমস্যা তারা দিনে তিনবার খাবার আগে এবং পরে আপেল সিডার ভিনেগার খেতে পারেন। এটি নিয়মিত খেলে গ্যাস্ট্রিক এবং হজমের সমস্যার অনেক উপকারে আসে।
আপেল সিডার ভিনেগার কোনটা ভালো
বাজারে বিভিন্ন ধরনের আপেল সিডার ভিনেগার কিনতে পাওয়া যায়। তবে বিভিন্ন সমস্যার জন্য আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার সবচাইতে ভালো।
আমেরিকান কোম্পানির আপেল সিডার ভিনেগার সবচাইতে ভালো। তবে এটি বাজারে খুঁজে পাওয়া অনেক মুশকিলের ব্যাপার।
বর্তমানে বাজারে অধিক পরিমাণে নকল আবেগের ভিনেগার বিক্রি হচ্ছে। এজন্য বাড়িতে আপেল সিডার ভিনেগার বানানো ভালো। উপরে কিভাবে আপেল সিডার ভিনেগার বানাবেন তার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আপেল সিডার ভিনেগার দাম কত
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির, বিভিন্ন সাইজের অ্যাপেল সিডার ভিনেগার বিভিন্ন দামে বিক্রয় হচ্ছে।
আপেল সিডার ভিনেগারের দাম:—
- ইতালিয়ান আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার-৫০০ এম এল-৬৫০ টাকা।
- ভেনতেজ আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার-১০০০ এম এল-১৮৫০ টাকা।
- ব্রাগ অর্গানিক আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার -৪৭৩ এম এল-৯৫০ টাকা
- ডিসকভারী অর্গানিক আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার-৫০০ এম এল- ৭৫০/-
- ডি নিগ্রিস অর্গানিক আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার – ১০০০ এম এল- ১৪০০/-
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময়
প্রতিদিন ৩ বেলা খাওয়ার ৫ থেকে ১০ মিনিট আগে ২৫০ এম এল পানির সাথে ২ চা-চামচ আপেল সিডার ভিনেগার খেতে হবে।
আসল আপেল সিডার ভিনেগার চেনার উপায়
আপেল সিডার ভিনেগার আসল নাকি নকল তা আপনারা বাড়িতে বসে খুব সহজে পরীক্ষা করতে পারবেন।
আসল আপেল সিডার ভিনেগার চেনার উপায়:—
- আসল আপেল সিডার ভিনেগারে মূলত ভালো ব্যাকটেরিয়া জন্মে এ কারণে খারাপ ব্যাকটেরিয়া জন্ম হতে পারে না।
- আসলে আপেল সিডার ভিনেগার পরীক্ষা করতে প্রথমে আপনাকে ভিনেগারের পাত্রের মুখ খুলে সুতি কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে। এই অবস্থায় ৪-৫ দিন রেখে দিলে আসল আপেল সিডার ভিনেগারের উপরে পাতলা সাদা একটা আবরণ জন্মে।
আপেল সিডার ভিনেগার সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর:
আপেল সিডার ভিনেগার কি?
আপেল সিডার ভিনেগার হল আপেল থেকে প্রস্তুতকৃত ভিনেগার। এতে পাঁচ থেকে ছয় পার্সেন্ট অ্যাসিটিক এসিড থাকে।
আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার সবচাইতে বেশি উপকারী এবং জনপ্রিয়।
আপেল সিডার ভিনেগার কোথায় পাওয়া যাবে?
শহরের বিভিন্ন বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে আপেল সিডার ভিনেগার পাওয়া যায়। এছাড়া বর্তমানে অনেক অনলাইন শপে আপেল সিডার ভিনেগার বিক্রয় করা হচ্ছে।
আপেল সিডার ভিনেগার কি ফ্রিজে রাখতে হয়?
আপেল সিডার ভিনেগার ফ্রিজে না রাখলেও কোন সমস্যা হয় না। তবে আপনি চাইলে ফ্রিজে রেখেও খেতে পারেন।
আপেল সিডার ভিনেগার খেলে কি ওজন কমে?
প্রতিদিন তিনবার খাওয়ার আগে আপেল সিডার ভিনেগার খেলে ক্ষুধার পরিমাণ কমে যায় যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
১৭৫ জন মোটা মানুষের উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে তারা প্রতিদিন আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ফলে তাদের ওজন কমতে শুরু করেছে।
আপেল সিডার ভিনেগার কি হালাল?
আপেল সিডার ভিনেগার তৈরি করতে সাধারণত চিনি, পানি এবং আপেল ব্যবহার করা হয়। যার একটি খাবারও হারাম নয়।
অন্যান্য ভিনেগারের মত আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া বা ব্যবহার করা হালাল।
আপেল সিডার ভিনেগারের কাজ কি?
আপেল সিটার ভিনেগার শরীরের মেদ কমানো, গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমানো সহ বিভিন্ন রোগের উপশম হিসেবে কাজ করে।
আপেল সিডার ভিনেগার সম্পর্কে শেষ কথা
আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনে বেড়েই চলেছে। বিশেষ করা খাওয়ার জন্য। আজকেরি এই পোস্ট থেকে কিভাবে আপেল সিডার ভিনেগার বানানোর সম্পূর্ণ নিয়মাবলী তুলে ধরা হয়েছে যেন আমরা বাড়িতে খুব সহজেই তৈরী করতে পারি।